মূলত পদ্মায় ফেরি জটিলতার কারণে ঢাকার এসব গার্মেন্টস পণ্যের বেশিরভাগই চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে বিদেশে রফতানি হতো। পদ্মা সেতুর কল্যাণে মোংলা বন্দর দিয়ে গার্মেন্ট পণ্য রফতানিতে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন ঢাকার ব্যবসায়ীরা। কারণ, সেতু চালু হওয়ার পর ঢাকা থেকে মোংলা বন্দরের দূরত্ব এখন ১৭০ কিলোমিটার। আর ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের দূরত্ব ২৬০ কিলোমিটার।
মোংলা বন্দরে জাহাজ হ্যান্ডলিং দ্রুত ও নিরাপদ হওয়ায় এবং ঢাকার সঙ্গে দূরত্ব কমে যাওয়ায় সময় ও অর্থ সাশ্রয়ে এ বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানিতে আগ্রহী হয়েছেন গার্মেন্ট ব্যবসায়ীরা। এছাড়া মোংলা বন্দরে জাহাজ হ্যান্ডলিং দ্রুত ও নিরাপদে হওয়ায় এবং ঢাকার সাথে দূরত্ব কমে যাওয়ায় সময় ও অর্থ দুয়েরই সাশ্রয় হচ্ছে। এ কারনে ব্যবসায়িরা মোংলা বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি করায় আগ্রহী হয়েছেন। চলতি বছরের ২৫ জুন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক পদ্মা সেতু উদ্বোধন হওয়ায় দক্ষিনবঙ্গের যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বৃদ্ধি পাচ্ছে তার মধ্যে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ অন্যতম।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা বলেন, মোংলা বন্দরের জন্য আজকে একটি স্মরনীয় দিন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর ১ মাসের মধ্যে পদ্মা সেতু হয়ে মোংলা বন্দর এর মাধ্যমে গার্মেন্টস পন্য রপ্তানির নবযাত্রা শুরু হলো। বিভিন্ন গার্মেন্ট কোম্পানির কন্টেইনার নিয়ে সরাসরি বন্দর হতে পোল্যান্ডের উদ্দেশ্যে এ পন্য রপ্তানি হচ্ছে। ভবিষ্যতে আমদানি-রপ্তানি এ ধারা আরও বৃদ্ধি পাবে ইনশাআল্লাহ।